রাণা বসু

কালার বুক

বেশ কিছুক্ষণ লালবুক

আর সাদাবুক ফিরে তাকায়

মধ্যেখানে এক ভরাট জামতলা

যেন ক্লীভেজ আর নাভির

ভিতরের জমিতে ঠোঁট বুলিয়ে

হেসে চলে ফেটে চলে

ফলে লেগে থাকা বীচিগুলোর মত

ঠিক কুকুরের বাচ্চাগুলো

মা-কুকুরের পাশে যেভাবে ঘুরঘুর করে

রঙ প্রেম

বিবাহিত!

নাকি তার প্রেমিক সিঁদুর

একফোঁটা দূর থেকে

গাছের শরীর পাতার নাভির মত

ছিঁড়ে দ্যায় পথের গভীর ক্ষত

যেখানে কুচফল ধার করে

মেপে ন্যায় বিবাহিত

পাথরের কলাকুশল

অন্তত একবার,

একবার কি তাকে প্রিন্সেপ ঘাট

থেকে নামিয়ে কালীঘাট

থেকে তুলে

একবর্ণ শব্দ শেখানো যায়

প্রেম টু লেবেল ক্রসিং

একটা দোতলা বারান্দায় বসি

যার কোনো একতলা নেই

যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যায়

বৃষ্টির বিরোধিতা করার জন্য

বর্ষার চুল আঁচড়াতে

একটা দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রশ্মি

মহাকাশ ভেদ করে চলে গেল

বারান্দায় শীত আসে

কালবৈশাখীর দাপুটে রঙে

গোধূলিকে সন্ধ্যে বলে ধরে ন্যায়

আড়াআড়ি বসবাস করা ঈগল

আমি রশ্মি হাতে বসে থাকি

লেবেল ক্রসিং পর্যন্ত

ষষ্টিক প্রেম

ঈশ্বরের স্তনে

কালো সরষের দাগ

ফিরে আসো বা না আসো

তুমি চাকা

যার অপনয়নে আমি বুঝে গেছি

দাগের শেষ বিন্দু

কতটা দাগী হতে পারে

শুধু একটা বিন্দু

ওজনহীন দৈর্ঘ্য-প্রস্থহীন একটা বিন্দু

জল খেতে খেতে

কতটা জলীয় হয়ে উঠতে পারে