Wednesday, July 6, 2016
বৃক্ষবতী
১
পড়। বানান করে। জড়িবুটির সংসার
ওই তো স্নেহদোষ। তরল শূন্যতার
ছায়া
নবীন উচ্চারণ, কেন তুমি ঢাকা পড়ছ
মৌনতার দেশে
বিগত বৃক্ষ থেকে ঝরে যায় প্রশংসার
হলুদ পাতা
আমাদের বাক্যবোধে যেটুকু শ্লীলতা।
সফেদ কুশল
পড়। বানান করে— আঁধারকণিকা
২
ভয়। খেলার আধার। দেয়াল
ত্রিমাত্রিক
যেমন বিভ্রম। ভুলের কারুকাজ সে
নিজেই এঁকেছে
তোমাদের বাদামি ভূগোল। নেহাত
পর্যটনে
দৃশ্য জটিল হয়। চোখে লাগে
অদূরে বটফল— অন্তিম বীজ
তবু কি গাইবে না, হননসংগীত
৩
যেটুকু শীতের কাল। সঞ্চয়। ঘুমের খোলস
সেও এক আলোর কৃপাণ
হাওয়া তো বাজনাভুক, নিদ্রার
দ্বিতীয় প্রভাত
এভাবে গল্প আসে। স্নেহাতুর।
অপরাপ্রদেশ
ছায়া, অশীতিপর। কাঁপে প্রাণ
শেকড়, চেতনাগ্রাম— সময়ের শাখা,
চির আয়ুষ্মান
৪
ওই তো চারণবোধ। ছায়ার লিরিক
আত্মার ঝুরি নামে অপেরা সন্ধ্যায়
নিষেক, তৃতীয় স্বর। স্খলিত গান্ধার
যদিও প্রহর, ক্ষণ— গোটানো চাবুক
সিক্ত প্রহারকাল নেমে এলে, ভাঙে
ডানা
শম ছিঁড়ে পথ চলে শোকসংগীত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment