Wednesday, July 6, 2016
বেলজিয়াম সারস
ভিখারির
হাতে এক স্লাইস রুটি ছুঁড়ে দেওয়ার পরে
উত্তেজনায়
আঙুলের ডগা কাঁপছিল নাবিকের।
মনে
হল হয়ত অনেক দেরী হয়ে গেছে
হয়ত
বা সময় হয় নি।
সেই
সময়ে একটা বেলজিয়াম সারসের
গোড়ালি
ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা।
ঠিক
এই সময়ে কুঁজ থেকে জল গড়িয়ে নেওয়া উট
কুঁজো
খুঁজতে থাকা সময়ের কাছে ফিরছে।
জাহাজের
ফুলকি লেগে থাকা চোখে
ডেক
চেয়ার হেলান দিয়ে রোদ মাখলেও
আমাদের
শরীর ভর্তি ওম
দ্বীপ
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়...
গৃহস্থালী
‘হ্যাঁ’
বললেই ভাল থাকা যায়
বেদম
ছুটতে থাকা প্রহর
পড়তে
পড়তে উঠে দাঁড়ালে -
ভাল
থাকে।
‘হ্যাঁ’
বললেই ভাল থাকা যায়।
ভাল
থাকার পাশে
হাঁ
করে চেয়ে বসে থাকে
ভনভন
লুকিয়ে রাখা কিছু মাছি
ছয়ের
পরে নয় নিয়ে
‘না’
হতে থাকে যারা
তাদেরও
ভাল থাকা আছে।
‘না’
বললেই ভাল থাকার পাশে
বেড়ে
ওঠে লতাগুল্ম, ঝোপ
গৃহস্থালী
ছেড়ে বেড়ে ওঠা অরণ্য
নিঃশব্দে
পেরিয়ে যায় ‘না’-র সংসার।
দাম্পত্য
ওদের
মত আমরা একে অপরের
অতটাও
খেয়াল রাখি না।
যেটুকু
খেয়াল আছে –
ওদের
বুঝতে দিও না।
এই
বাড়িতে মানুষ বাস করে না
আয়না
ভাঙার শব্দে লোক জড় হলে
তুমি
ওদের বলে দিও- কর্ত্রী বাড়িতে নেই।
নদীর
ধারের সূর্যাস্তের রঙ আমাদের জামায় মিশে গেলে
আমরা
একযোগে আকাশ দেখলাম -
কিছু
ভাল পাখি আর একটি রঙিন সূর্যাস্ত.....
ঘুমোতে
যাওয়ার আগে
আবার
আমরা কব্জিতে লুকনো বাঘনখের গল্প পড়লাম।
সকালের
রুটি তরকারিতে বোগেনভেলিয়া উঁকি দিলে
আমাদের
গোলাপ-গন্ধী মৃদু হাসিতে ওরা জ্বলে উঠল।
ভুলুর
চিৎকারে মনে পড়ল রাতের নাটকের কথা -
শো
শেষ হলে গলে যাওয়া আইসক্রিমে
রাস্তা
ভিজিয়ে আমরা ফিরেছিলাম।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বেলজিয়াম সারস, ...নামটির ব্যঞ্জনা দিয়ে দারুন রুটি, ভিখারী, নাবিক প্রসঙ্গ।
ReplyDeleteদাম্পত্যটা আমার খুব ভালো লেগেছে
আমারও ভাল লাগ্ল
Deleteতিনটি কবিতাই ভালো লাগলো, বিশেষত কবিতাগুলির চলন এবং বিষয়ের ভেতরে থেকেও গতিপথ বদল
ReplyDeleteমনোযোগ দাবি করে
অনেক ধন্যবাদ
ReplyDeleteতিনটি কবিতাই ভালো লাগল। বেশি ভালো লাগল দাম্পত্য
ReplyDeleteসুক্রিয়া জনাব!
Delete